রূপসা উপজেলা, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা জেলায় অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক এলাকা। রূপসা নদীর তীরে অবস্থিত এই উপজেলা প্রায় ৯৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং খুলনা শহরের সন্নিকটে অবস্থানের কারণে এটি এই অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।
প্রশাসনিকভাবে রূপসা উপজেলা পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গঠিত—আইচগাতী, ঘাটভোগ, নৈহাটি, শ্রীফলতলা, টি.এস. বাহিরদিয়া । এসব ইউনিয়নে বহু গ্রাম ও মৌজা রয়েছে, যেখানে অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ, মাছ ও চিংড়ি চাষ এবং ছোটখাটো শিল্পে নিয়োজিত। বিশেষ করে চিংড়ি ও মাছ চাষ এই অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
রূপসা ঐতিহাসিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের মাজার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বেদনাদায়ক স্মৃতি বহন করে। এছাড়াও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতৃপুরুষের আদি ভিটা রূপসার পিঠাভোগ গ্রামে অবস্থিত। অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যসেবা এবং যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে রূপসা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়-২৪টি, মাদরাসা-১০টি এবং কলেজ রয়েছে-০৮টি। বিশেষ করে রূপসা সেতু নির্মাণের ফলে খুলনা শহরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ আরও সহজ ও গতিশীল হয়েছে।
মোটের ওপর, রূপসা উপজেলা হলো একটি গ্রামীণ ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উন্নয়নের সংমিশ্রণ, যা খুলনা জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস